বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
 
vatirrani News

প্রচ্ছদ তাড়াইল কিশোরগঞ্জে তরুণী হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জে তরুণী হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক | ৪:৫১ অপরাহ্ন, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

1580813477.jpg

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চাঞ্চল্যকর সরুফা ওরফে মারুফা আক্তার (১৯) হত্যা মামলায় মো. বাচ্চু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হিমা আক্তার (৩২) ও রতন মিয়া (৩৭) কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মো. বাচ্চু মিয়া তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে।

অন্যদিকে নিহত মারুফা আক্তার একই গ্রামের মো. আব্দুর রাশিদের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ই মে বিকালে রান্না শেষে মাটির চুলার উপরে ভিজা লাকড়ী আগুনে শুকানোর মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হিমা আক্তার (৩২) এর সাথে সরুফা ওরফে মারুফা আক্তারের ঝগড়া হয়।

এ সময় হিমা আক্তার দা নিয়ে মারুফাকে তাড়া করলে সে পালিয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হিমা আক্তার তখন মারুফাকে খুন না করে ভাত খাবে না বলে হুমকি দেয়।

হিমা আক্তারের এই হুমকি বিষয়টি জেনে সরুফা ওরফে মারুফা আক্তারকে খুন করে হিমা আক্তারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে বাচ্চু মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোর রাতে প্রকৃতির ডাকে সরুফা ওরফে মারুফা আক্তার ঘরের বাইরে বের হলে তার দুই হাত গামছা দিয়ে বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে বাচ্চু মিয়া।

পরদিন ১১ই মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রতিবেশী রইছ উদ্দিনের পুকুরের পাশে পতিত জমি সংলগ্ন ড্রেনে ঝোপের মধ্যে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় সরুফা ওরফে মারুফা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের পিতা মো. আব্দুর রাশিদ বাদী হয়ে হিমা আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামোল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তাড়াইল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ পরদিন ১২ই মে হিমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ওই বছরের ২৩শে জুলাই রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরবর্তিতে ২০১৪ সালের ১৫ই জানুয়ারি মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বাচ্চু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সরুফা ওরফে মারুফা হত্যার বর্ণনা দেয়।

পরে ২০১৪ সালের ৮ই জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মামলার দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে হিমা আক্তার, মো. বাচ্চু মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার বড় ভাই রতন মিয়া এই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ সাক্ষ্য-শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী এবং আসামি পক্ষে অ্যাভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস মামলাটি পরিচালনা করেন।

Post Your Comment

সম্পাদক: গোলাম রসূল, উপদেষ্টা সম্পাদক: কুদ্দুস আফ্রাদ ও ইব্রাহিম খলিল খোকন, নির্বাহী সম্পাদক: এস. এম. ফরহাদ
বার্তাকক্ষ: 01911214995, E-mail: info@vatirrani.com
Developed by CHAHIDA.COM