ব্রিটিশ দূতাবাসে নিয়োগ পেলো বিড়াল
নিউজ ডেস্ক | ৯:১০ পূর্বাহ্ন, ২২ নভেম্বর, ২০১৭
জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে চাকরি পেয়েছে এক বিড়াল। পদের নাম ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্যি। দূতাবাসের ইঁদুর তাড়াতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বিড়ালকে। ‘লরেন্স অব আবদুন’ নামের কালো সাদা রঙের বিড়ালটি নিয়োগ দেওয়ার পর তার টুইটার অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার অনুসারীর সংখ্যা আড়াই হাজার।
রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, লরেন্স নামটি রাখা হয়েছে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্সের নামানুসারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্স আরবের হয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাকে ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ও বলা হতো। জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাস অবস্থিত আম্মানের পার্শ্ববর্তী শহর আবদুনে। সেখান থেকেই বিড়ালের নামে ‘আবদুন’ শব্দটি এসেছে। গত মাসে পশু প্রাণী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয় লরেন্স অব আবদুনকে।
জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কূটনীতিক লরা ডাউবান একটি টুইট বার্তায় বিড়ালটিকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘ডিপ্লোম্যাটিক ক্যাট’ হিসেবে। তিনি বলেন, মাউসিং ডিউটি ছাড়াও টুইটারে অনুসরণকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে ও। খুবই মজার যে ব্রিটিশ নাগরিকেরা জর্ডানে দেশের দূতাবাসকে এখন একটু অন্য দৃষ্টিতে দেখবে।
তিনি আরো বলেন, লরেন্সের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমরা জর্ডানের এমন দিক দেখানোর চেষ্টা করছি, যা সত্যিই ভীষণ ভালো, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ। এখানে ব্রিটিশ পর্যটকদের পরিদর্শনে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে টুইটারে এ পোস্টের পর অনুসারীদের ট্রলের শিকার হয়েছে লরেন্স। ডাউবান টুইটে লেখেন, সে কিছুটা কষ্ট পেয়েছে কারণ টুইটে অনেকে তাকে ‘মোটু’ বলে মন্তব্য করেছে। এ অবস্থায় কিছুটা ব্যায়াম করছে সে।
এর আগে গত বছর ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র কার্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় পালমারস্টোন নামের এক বিড়ালকে। টুইটারে এক বছরে ওই বিড়ালের অনুসারী হয় ৫৭ হাজার। মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত পালমারস্টোনের কাজের আপডেট দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইঁদুর মারতে ল্যারি নামের একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ওই সময় বলেছিলেন, ল্যারি ইঁদুর ধরতে খুবই পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ল্যারি নামের ওই বিড়ালটির টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। গত বছর পর্যন্ত টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৫০০ জন।