'যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান'
মুহাম্মদ জাকির আশরাফী | ১:৪৯ অপরাহ্ন, ৩ জুলাই, ২০২০
মুহাম্মদ জাকির আশরাফী: সমাজ বিধ্বংসী কার্যকলাপের মধ্যে অন্যতম একটির নাম যৌতুক প্রথা। সমাজকে বিষাক্ত করতে মদ-জোয়া, যিনা-ব্যভিচার, চুরি-ডাকাতি, হত্যা-ধর্ষণ, গুম-খুন, ইত্যাদি যেমন অগ্রণী ভুমিকা পালন করে, তেমনি যৌতুক প্রথাও সমাজকে বিষাক্ত করতে তার চেয়েও বরং বেশি ভুমিকা রাখে। আফসোসের বিষয় হচ্ছে, অন্যান্য সমাজ বিধ্বংসী কার্যক্রমকে সমাজের হর্তাকর্তারা যত বেশি নেগেটিভের চোখে দেখে, তত বেশি যৌতুক প্রথাকে তারা নেগেটিভের চোখে দেখে না! বরং সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে যৌতুক প্রথাকে তারাই সবচেয়ে বেশি প্রমোট করে। কি! বেশি বললাম না তো? না, একদম সত্যিটাই বলছি। বিশ্বাস না হলে কালো চশমাটা বদলিয়ে দেখুন। আমি সমাজ বিধ্বংসী কার্যকলাপ বলে যেগুলোকে মেনশন করছি, সেগুলো ইসলামী শারীআতে সম্পূর্ণরূপে হারাম তথা নিষিদ্ধ। তাই সেগুলোকে সবাই নেগেটিভের চোখে দেখে। আমার প্রশ্ন হল, ইসলামী শারীআতে তো যৌতুক প্রথা নামক সমাজের বিষধর সাপকেও নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু কেন অধিকাংশ মানুষ এটাকে পজিটিভের চোখে দেখে? উত্তর আপনাদের কাছেই রাখলাম। সম্মানিত পাঠকমণ্ডলী, যৌতুক নামক সমাজ বিধ্বংসী কার্যকলাপের কারণে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবার মেয়েদের বিয়ে দিতে প্রতিনিয়ত বিপর্যস্ত অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিয়ের পরেও এর বিধ্বংসি অবস্থা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ইসলামী আইন মোতাবেকও যৌতুক সমপূর্ণ হারাম এবং যুগে যুগে ইসলামিক স্কলারগণ এথেকে সমাজকে মুক্ত করতে কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। আমি মনে করি যৌতুকের এই ঘৃণ্য পদ্ধতি থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে চাইলে বিশেষত আলেম সমাজ, যুব সমাজ এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকদের এগিয়ে আসা উচিত। তাই আসুন, হাতে হাত রেখে সমাজকে যৌতুক মুক্ত করে সুন্নাহর আদলে বিয়ের অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করতে জনমত গড়ে তুলি। আশা করছি যৌতুক নামক এই কৌতুকের বেড়াজাল থেকে আপনারা নিজেদের পরিবার, সমাজ এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে মুক্তি দিবেন ইনশা-আল্লাহ।