শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
 
vatirrani News

প্রচ্ছদ মিঠামইন মিঠামইনে ত্রাণের তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী-পুত্রদের নাম

মিঠামইনে ত্রাণের তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী-পুত্রদের নাম

নিউজ ডেস্ক | ২:২২ অপরাহ্ন, ১৬ মে, ২০২০

1589617366.jpg

করোনা ভাইরাস উপলক্ষে আসা ত্রাণ সামগ্রী বন্টনে মিঠামইন উপজেলার ৬নং কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ এই তিন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ আলী ও সাইদুর রহমান এর বিরুদ্ধে তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী ও পুত্রসহ আত্মীয়স্বজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগ ওঠেছে।

এছাড়া ৪০টি কর্মহীন পরিবারের নাম ত্রাণ সামগ্রীর তালিকায় না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে কাটখাল ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ত্রাণবঞ্চিত ৪০টি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকেও ত্রাণবঞ্চিতদের তালিকা দেয়া হয়েছে।

ত্রাণবঞ্চিতদের মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডের কাকুয়া গ্রামের আকলিমা আক্তার অভিযোগ করেন, তারা দিনমজুর। করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করলেও এ পর্যন্ত তারা কেউ কোন ত্রাণ পাননি।

৭নং ওয়ার্ডর ত্রাণবঞ্চিত দিনমজুর তাহের আলী, ৮নং ওয়ার্ডের হাজেরা খাতুন ও ৯নং ওয়ার্ডের শাহেরা জানান, করোনা ভাইরাস আসার পর কাটখাল ইউনিয়নে আসা বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে তারা কিছুই পাননি।

তারা জানান, মিঠামইন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট ত্রাণবঞ্চিতদের নামের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যগণের নিকট ত্রাণের জন্য গেলে তাদেরকে ত্রাণ দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে কর্মহীন অবস্থায় তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।

ত্রাণবঞ্চিতরা অভিযোগ করেন, এসকল ইউপি সদস্যগণ তাদের আত্মীয়স্বজনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুুক্ত করেছেন। এমনকি তালিকায় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রাহেলা খাতুন এবং দুই ছেলে আতিক ও সাইফুলের নাম রয়েছে।

এছাড়া এলাছ মিয়া ও তার স্ত্রী পারভিনের নাম একই তালিকায় রয়েছে। সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ডালিয়া আক্তারের পুত্র হুসাইন মিয়ার নামও রয়েছে। এমনভবে এই তিনটি ওয়ার্ডে অসংখ্য নাম রয়েছে ত্রাণের তালিকায়।

অভিযুক্ত ৮নং ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, তার ওয়ার্ডে ১২০টি নাম রয়েছে। তিনি সঠিকভাবেই তালিকা করেছেন। তবে যাদের নাম কোন তালিকায় দেয়া যায়নি পরবর্তীতে কোন সুযোগ এলে তাদের নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও তিনি জানান।

একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন মিয়া ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তারা ফোন তুলেননি।

কাটখাল ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরাই তালিকা করে থাকে। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কারো বাদ পড়ার বিষয়টি তার জানা নেই। এছাড়া তার জানা মতে কোন অনিয়মও হয়নি।

-কিশোরগঞ্জ নিউজ

Post Your Comment

সম্পাদক: গোলাম রসূল, উপদেষ্টা সম্পাদক: কুদ্দুস আফ্রাদ ও ইব্রাহিম খলিল খোকন, নির্বাহী সম্পাদক: এস. এম. ফরহাদ
বার্তাকক্ষ: 01911214995, E-mail: info@vatirrani.com
Developed by CHAHIDA.COM