প্রচ্ছদ মেধাবী মুখ অদম্য পরিশ্রমী ও মেধাবী অষ্টগ্রামের জুবাইদ
অদম্য পরিশ্রমী ও মেধাবী অষ্টগ্রামের জুবাইদ
বিশেষ প্রতিনিধি | ১০:০৬ অপরাহ্ন, ৪ জুন, ২০২০
জুবাইদ মিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি: হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের হক সাহেব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে জুবাইদ মিয়া।
জুবাইদ দেওঘর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মাসুক মিয়া ও রাবেয়া খাতুন দম্পতির বড় ছেলে।বাবা মাসুক মিয়া একজন ধানের বেপারী ও মা একজন গৃহিণী। তিন ভাই-দুই বোনের মধ্যে সেই বড়।বাবা মাসুক মিয়াকে ব্যবসার কাজে বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাই বাবার কৃষি কাজের সমস্ত দেখাশোনা জুবাইদকেই করতে হয়।
জুবাইদের সাথে কথা বলে জানা যায় সে বছরের বেশির ভাগ সময় কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকতো। পড়াশোনার ব্যাপারে জুবাইদ বলে, “আমি কাজের চাপে বছরের অর্ধেক সময় পড়াশোনা করতে পারতাম না । তারপরেও যতটুকু সময় পেয়েছি অধিক পরিশ্রম করে প্রাথমিক ও জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছি।”
ভবিষ্যত লক্ষ সম্পর্কে জানতে চাইলে জুবাইদ জানায় সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।
যোগাযোগ করলে হক সাহেব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান চৌধুরী ভাটির রানিকে বলেন, “মেধাবী ছাত্র হিসেবে ওর খোঁজ নিতাম।কিন্তু সে বছরের বেশির ভাগ সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকতো না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে কৃষি কাজসহ পরিবারের দেখাশোনা ওই করতো। এতো পরিশ্রমের পরেও সে সাফল্য ধরে রেখেছে।আমি আশা করি সে ভবিষ্যতেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।”
তার বাবা মাসুক মিয়া বলেন, “আমি অশিক্ষিত মানুষ। লেখাপড়া নিয়ে এত কিছু বুঝি না। শুনেছি আমার পুতে (ছেলে) অনেক ভালো করেছে। আমার পুতে এখন যেভাবে চাই, আমি তা রাহুম। পুতেরে দিয়া আর কাম করামো না।”
জুবাইদ এর শিক্ষক বোরহান উদ্দিন শেখ ভাটির রানিকে বলেন, “জুবাইদ অনেক পরিশ্রমী ও মেধাবী ছেলে। সে শুকনো মৌসমে কৃষি কাজের কারণে পড়াশোনা করতে না পারলেও যেটুকু সময় পেতো অনেক পরিশ্রম করতো। তার পেছনে শ্রম দিতে পেরে গর্ববোধ করছি এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।”
4 Comments