প্রচ্ছদ সাহিত্য ও সংস্কৃতি কিশোরগঞ্জের লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার-শেষ পর্ব
কিশোরগঞ্জের লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার-শেষ পর্ব
গোলাম রসূল | ১০:২০ পূর্বাহ্ন, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
থালা থেকে এক লোকমা ভাত খেলে পানিতে ডোবার সম্ভাবনা। তাই দুবার খেতে হয়। পূর্বে কিশোরগঞ্জের সমাজে এ রকম নানান লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার প্রচলিত ছিল। বাংলা একাডেমি প্রণীত ‘বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি’ গ্রন্থমালায় কিশোরগঞ্জের এমনই কিছু লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার উল্লেখিত আছে। আসুন সেগুলো পড়া যাক।
১. ভাত-তরকারি রান্না করা মাত্রই পাত্রটি সরাসরি মাটিতে নামাতে নেই, এতে অমঙ্গল সাধিত হয়। ভাঙ্গা পাত্রে পানি খেতে নেই।
২. হাত থেকে চিরুনি পড়ে গেলে বা কুটুম পাখি ডাকলে বাড়িতে আত্মীয়-কুটুমের আগমন হয়। ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখলেই, তাতে আয়ু কমে।
৩. থালা থেকে এক লোকমা ভাত খেলে পানিতে ডোবার সম্ভাবনা। তাই দুবার খেতে হয়।
৪. খেতে বসে বিষম ঢেকুর খেলে দূরের আত্মীয়-স্বজন কেউ তাকে স্মরণ করেছে বলে বিশ্বাস রয়েছে।
৫. গামছা, গেঞ্জি সেলাই করে পরিধান করা অমঙ্গল হয়। মেয়েরা মাথায় টুপি পড়লে অমঙ্গল হয়।
৬. জুতা-সেন্ডেল, ঝাড়– পেতে বসতে নেই, এতে অমঙ্গল হয়।