প্রচ্ছদ সাহিত্য ও সংস্কৃতি কিশোরগঞ্জের লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার-দ্বিতীয় পর্ব
কিশোরগঞ্জের লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার-দ্বিতীয় পর্ব
গোলাম রসূল | ১২:৫২ অপরাহ্ন, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আগুন, লোহা সঙ্গে থাকলে রাত্রে ভূতে ধরে না। খালি ঘরে রাত্রে জ্বীন আসে। পূর্বে কিশোরগঞ্জের সমাজে এ রকম নানান লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার প্রচলিত ছিল। বাংলা একাডেমি প্রণীত ‘বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি’ গ্রন্থমালায় কিশোরগঞ্জের এমনই কিছু লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার উল্লেখিত আছে। আসুন সেগুলো পড়া যাক।
১. যাত্রাকালে মা পিছন থেকে ডাকলে যাত্রা শুভ হয়। ভাগ্নেকে মারলে মামার হাত কাঁপে এ বিশ্বাস রয়েছে।
২. শুকনো ডালে কাক পড়ে থাকতে দেখলে যাত্রা অশুভ হয়। কাকে খাওয়া আম খেলে বগলে ফোঁড়া হয়।
৩. কুকুর বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়লে রোগের উৎপত্তি হয়।
৪. আগুন, লোহা সঙ্গে থাকলে রাত্রে ভূতে ধরে না। খালি ঘরে রাত্রে জ্বীন আসে।
৫. ভাগ্নে অথবা ছোট ছেলের লিঙ্গ চোখে ছোঁয়ালে চোখ উঠা রোগ ভাল হয়।
৬. ট্যাওয়া মাটি গুলে গালে প্রলেপ দিলে গাল ফোলা রোগ ভাল হয়।
৭. কুকুর বিড়াল কামড় অথবা নাকে আঁছড় দিলে কলাপড়া এবং দা-বটির উপর লবণ মিশ্রিত বেগুন ফুল খেলে ভাল হয়।
এ ধরনের শত শত লোক বিশ্বাস-সংস্কার-কুসংস্কার রয়েছে যা আমাদের সমাজে রক্ষা কবচ হিসেবে আজও মানুষের বিশ্বাস সৃষ্টি করে আছে।
চলবে...