৬ মাস ধরে সেবা নেই বাঙ্গালপাড়া পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে
মন্তোষ চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিবেদক | ৩:৪৫ অপরাহ্ন, ১৯ জুন, ২০২১
মন্তোষ চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিবেদক: অষ্টগ্রামের বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকটি ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকার কারণে একদিকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এই ইউনিয়নের ২২ হাজার মানুষ অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারি হাজার হাজার টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। জানা গেছে ক্লিনিকটি বছর-দেড়েক আগে অস্থায়ীভাবে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুর সেবা দিয়ে আসছিল। কিন্তু গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মাঝমাঝি এই ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শিকা হোসনা আক্তার উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ছয় মাসের জন্য চলে যাওয়ার কারণে ইউনিয়ন ক্লিনিকটির সকল সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে সরকারি হাজার হাজার টাকার ওষুধ নষ্ট হলেও উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায় রথানী গ্রামের আলেয়া বেগম নামের এক মধ্যবয়সী মহিলা তার এক সন্তানকে নিয়ে ক্লিনিকের সামনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। পরে আরেকজন এসে জানান এই ক্লিনিক গত ৬ মাস ধরে বন্ধ। পরে মহিলা অসহায়ের মত চলে যান। স্থানীয়রা জানান বর্তমান করোনা মহামারিতে এই ক্লিনিকটি বন্ধ থাকার ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। তারা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ছয় মাসের জন্য চলে যাওয়ার পরও বিষয়টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নজরে পড়েনি। ফলে এই দীর্ঘ সময় ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নের ২২ হাজার মানুষ। এছাড়াও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: শামছুল আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় অর্ধযুগ একই অফিসে থাকার সুবাদে তার নিজের ইচ্ছেমত অফিস করাসহ নানা অভিযোগ। বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান মো: এনামুল হক ভূইয়া বলেন, “জনগণের সেবা বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের সেবার কথা চিন্তা করে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অস্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেযার, টেবিল ফ্যানসহ নানা জিনিসপত্র দিয়েছি। কিন্তু এই করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে গত ৬ মাস যাবত এই ইউনিয়নের ২২ মানুষ সেবা না পেয়ে উপজেলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় কষ্ট করে সেবা নিচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তিনি এর দ্রত সমাধানের দাবি করেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: শামছুল আলমের সাথে কথা বলতে তার অফিসে ৪-৫ দিন গিয়েও তার দেখা মিলেনি। পরে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, “পরিদর্শিকার প্রশিক্ষণ মনে হয় শেষ পর্যায়ে। জুন মাসেই বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়ন ক্লিনিকটি খোলার কথা রয়েছে। তবে বাহিরে থাকার কারণে কাগজপত্র দেখে বলতে পারছি না। এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এসএম খাইরুল আমিন বলেন, “আমি কিশোরগঞ্জে নতুন এসেছি তাই বিষয়গুলো অবগত ছিলাম না। তবে বিষয়গুলো আমি দেখব।”