শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 
vatirrani News

প্রচ্ছদ করিমগঞ্জ করিমগঞ্জে ভিটেমাটি জবরদখল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে তিন নারীর আকুতি

করিমগঞ্জে ভিটেমাটি জবরদখল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে তিন নারীর আকুতি

নিউজ ডেস্ক | ৮:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই, ২০২০

1595125554.jpg

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের দক্ষিণ নানশ্রী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন মারা যান ১৯৯১ সালে। মৃত্যুকালে রেখে যান স্ত্রী এবং চার কন্যা সন্তান। স্বামীর মৃত্যুর ২৭ বছর পর ২০১৮ সালে মারা যান স্ত্রী হালিমা খাতুন।

তার মৃত্যুর পর তাদের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুনের রেখে যাওয়া ভিটে-মাটি ও ফসলি জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে মোহাম্মদ হোসেনের দুই ভাইয়ের ছেলেদের। ভিটেমাটি-জমির প্রলোভনে তাদের অপকর্মের সাথী করে মোহাম্মদ হোসেনের বড় মেয়ে লুৎফা’র স্বামী আমির হোসেনকে।

এরপর থেকেই মোহাম্মদ হোসেনের বাকি তিন মেয়ে শামসুন্নাহার, জাহানারা ও আয়েশাকে পড়তে কঠিন পরিস্থিতির মুখে। অসহায় তিন বোনের সহায়-সম্পদ দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে চাচাতো তিন ভাই আব্দুল লতিফ, সফির উদ্দিন ও আল আমিন এবং ভগ্নিপতি আমির হোসেন। নানা কৌশলে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও মায়ের লিখে দেওয়া জমি জবরদখলে তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে তিন বোন এখন অসহায়।

শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের এ অসহায় অবস্থার বর্ণনা দেন তিন বোন শামসুন্নাহার, জাহানারা ও আয়েশা। সংবাদ সম্মেলনে তারা ভিটেমাটি ও জমি জবরদখল হওয়া থেকে তাদের রক্ষা করতে প্রশাসনের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকায় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিন বোন শামসুন্নাহার, জাহানারা ও আয়েশা বলেন, বাবা ও মা মারা যাওয়ার পর কোন ভাই না থাকায় তারা এখন অভিভাবকহীন। এই সুযোগে চাচাতো তিন ভাই আব্দুল লতিফ, সফির উদ্দিন ও আল আমিন তাদের বড় ভগ্নিপতি আমির হোসেনকে কৌশলে তাদের জিম্মায় পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে মুসলিম ফরায়েজ অনুযায়ী চাচা ও চাচাতো ভাইদের অংশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত এবং মুসলিম ফরায়েজ উপেক্ষা করে তাদের সম্পত্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। জোরপূর্বক সমূদয় সম্পত্তি বেআইনীভাবে গ্রাস করার জন্য তাদের উপর নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও হামলা চালাচ্ছে।

নিজেদের অসহায়ত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিন বোন শামসুন্নাহার, জাহানারা ও আয়েশা বলেন, চাচাতো ভাইদের অত্যাচারে আমরা আমাদের পৈত্রিক ভিটেমাটিতে যেতে পর্যন্ত পারছি না। তারা প্রতিনিয়ত ওয়ারীশান নিশ্চিহ্ন করার য়ড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

সম্পত্তি দখলে নিতে চাচাতো ভাই ও ভগ্নিপতির হুমকি-ধামকি ও মানসিক চাপের কারণে সবার ছোট বোন আয়েশা এখন মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও দুই বোন শামসুন্নাহার ও জাহানারা জানান।

এ পরিস্থিতিতে তারা তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে বিষয়টির আইনানুগ ও স্থায়ী সমাধানের আকুতি জানিয়েছেন অসহায় এই তিন নারী।

এ ব্যাপারে ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, আমি এলাকাবাসীদের নিয়ে শালীদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নিতে চাইলে তারাই একত্র হতে পারেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ আলী বলেন, আমরা সালিশ বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু জাহানারার চার বোনই একত্র হতে পারে না। তারা একত্র হলেই বিরাজমান সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সূত্র: কিশোরগঞ্জ নিউজ

Post Your Comment

সম্পাদক: গোলাম রসূল, উপদেষ্টা সম্পাদক: কুদ্দুস আফ্রাদ ও ইব্রাহিম খলিল খোকন, নির্বাহী সম্পাদক: এস. এম. ফরহাদ
বার্তাকক্ষ: 01911214995, E-mail: info@vatirrani.com
Developed by CHAHIDA.COM