তীব্র শীতেও সুস্থ থাকার কিছু উপায়
নিউজ ডেস্ক | ১০:০১ পূর্বাহ্ন, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
রাজধানীসহ সারা দেশে শীত বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে শীতকালীন নানা রোগের। তাই সুস্থ থাকতে অবলম্বন করতে পারেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ভেষজ উপায়। ছোট-বড় সবার জন্য উপকারী।
আসুন জেনে নেয়া যাক, তীব্র শীতেও সুস্থ থাকার কিছু উপায়।
তুলসিপাতা : তুলসিপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরির সময় লিকারে সামান্য তুলসি গুড়া মিশিয়ে দিলে চায়ের স্বাদ ভালো আসবে, ঠান্ডাজনিত সমস্যাও দূর হবে।
দই : সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ছোট এক কাপ দই খেলে ঠান্ডা সংক্রমণের পরিমাণ কমিয়ে দেয় শতকরা ২৫ ভাগ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কার্যকর।
মধু : ঠান্ডাজনিত সমস্যা সারাতে মধুর জুড়ি নাই। শীতের রাতে মধু খেয়ে ঘুমাতে পারেন। প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
লেবু : লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং লৌহ ঠান্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরো রয়েছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আদা-চা : ঠান্ডায় যারা ফুসফুস বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, হাঁচি, কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা, বুকে শ্লেষ্মা জমাসহ নানা সমস্যায় থাকেন তাদের জন্য খুবই উপকারী আদা-চা। শীতে নিয়মিত আদা-চা খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ফোটানো পানি : ছোট বাচ্চাদের বেলায় সর্দি-কাশির সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াজনিত রোগও বাড়তে পারে। কারণ এ সময় রোটা ভাইরাসের আক্রমণও বেড়ে যায়। বাচ্চাকে সব সময় ফোটানো পানি খাওয়ানো উচিত। রাস্তার খাবার, কাটা ফল, কোল্ড ড্রিংক ইত্যাদি না খাওয়ানোই ভালো।