প্রচ্ছদ আলোকিত মুখ পিএইচডি করতে জাপানে গেলেন অষ্টগ্রামের গর্ব হাসনাত লালন
পিএইচডি করতে জাপানে গেলেন অষ্টগ্রামের গর্ব হাসনাত লালন
বিশেষ প্রতিনিধি | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি: জাপান সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান সূচক পিএইচডি স্কলারশিপ ( মনোবসু স্কলারশিপ) অর্জন করে সম্প্রতি জাপানের টোকিও শহরে গমন করেছেন অষ্টগ্রামের কৃতি সন্তান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত লালন। তিনি উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের আব্দুল মোতালীব এর ছেলে ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইব্রাহিম মিয়ার নাতি। ছাত্র জীবনের প্রতিটি স্তরেই হাসনাত লালন মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তিনি আলীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, বাজিতপুরের আফতাব উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক, কিশোরগঞ্জের ওয়ালী নেওয়াজ খাঁন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অত্যন্ত সফলতার সাথে অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে হাসনাত লালন প্রথমে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরোটরীতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড-এ প্রধান বায়োকেমিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন ও শিক্ষা ছুটি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে জাপানে অবস্থান করছেন। হাসনাত লালন জাপানের নাগোয়া শহরে অবস্থিত চুবু ইউনিভার্সিটির বিশ্বখ্যাত গবেষক প্রফেসর কুইচি ফরোকাওয়া এর অধীনে ক্যান্সার বিষয়ক গবেষণা করবেন। লালন তাঁর এ সফলতা ও "মনোবসু" স্কলারশিপ অর্জনের পিছনে তাঁর সমস্ত শিক্ষক ও বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর ও বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া ও জাপান সরকারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী সিলেটের একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে ও একটি বেসরকারী হাসপাতালে পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর তিন ভাইয়ের মধ্যে একজন একটি বেসরকারী কোম্পানীতে, একজন "বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনে ইন্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন ও একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। দুই বোনের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। তিনি তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্য ও যেন সর্বোচ্চ সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন সে জন্য সবার নিকট দোয়া প্রার্থী।
1 Comments
Warning: Undefined array key "datetime" in /home/vatirrani/public_html/comments.php on line 23