নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কে বাঙ্গালপাড়ার নোয়াগাঁওবাসী
গোলাম রসূল | ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, ১৪ জুলাই, ২০২৪
গোলাম রসূল: মেঘনা নদীর নোয়াগাঁও অংশে অবিরত ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কে রয়েছেন নোয়াগাঁও গ্রামের হাজারো মানুষ। অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রান্তে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়ের সন্নিকটে নোয়াগাঁও গ্রামের অবস্থান। সরেজমিনে দেখা গেছে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত নোয়াগাঁও গ্রামের বিশাল অংশ নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গিয়েছে। চলতি বর্ষায় ভাঙ্গনের আগ পর্যন্ত নোয়াগাঁও মৌজার প্রায় ৪০০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর তীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বাঙ্গালপাড়া থেকে নোয়াগাঁও গ্রাম পর্যন্ত নবনির্মিত বারোমাসি সড়কের ২০-৩০ ফুট দূরত্বের কাছে চলে এসেছে। এই রাস্তার পাশে দুইটি বিদ্যুতের খুঁটিও নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। আর মাত্র ৫-৭ ফুট ভাঙ্গন হলেই বিদ্যুতের এই খুঁটি দুটি নদীতে পড়ে যাবে। ফলে বিঘিœত হবে এই এলাকার বিদ্যুতের সেবা। গ্রামবাসী জানান যদি দ্রুত এই ভাঙ্গন ঠেকানো না যায় তবে নোয়াগাঁও গ্রামের দু:খের সীমা থাকবে না। তারা জানান, গ্রামের মফিজ উদ্দিন, তৈয়ব আলী, শরাজ মিয়া, মুর্শিদ মিয়া, গোলাপ মিয়া, আনিস মিয়া, ফসরু মিয়া, ও অহিদ মিয়ার জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। কয়েকজনের বসতবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বসত বাড়ী ভাঙ্গনের হুমকিতে হয়েছে। নোয়াগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, ইলিয়াস মিয়া ও মো. ইনু মিয়া জানান, বাঙ্গালপাড়া থেকে নোয়াগাঁও গ্রাম পর্যন্ত বারোমাসি সড়ক নির্মাণের পর থেকেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। অন্যদিকে ইটনা উপজেলার ঢাকী নদী ভরাটের ফলে মেঘনা নদীতে পানির প্রবাহ বেড়েছে। এই দুই কারণে মেঘনার নোয়াগাঁও অংশে খুব দ্রুত পাড় ভাঙ্গছে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ৩-৪ বছর আগে নদী ভাঙ্গন থেকে নোয়াগাঁও গ্রামকে রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ নদীর পাড়ে ফেলা হয় যা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ফলে সে পদক্ষেপ কোন কাজে আসেনি। এরপর নদী ভাঙ্গন রোধে আর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ এফ মাশুক নাজিম ও সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সম্প্রতি নোয়াগাঁও গ্রামের এই নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করে গেছেন। তাঁরা ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন নোয়াগাঁও গ্রামকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু তিনি করবেন।